মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন।যার ফলে ক্রমেই গরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। চায়ের দোকান থেকে বাড়ির উঠান, সব জায়গায় এখন নির্বাচনের উত্তাপ ছড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর এলাকার হাটেমাঠে ঘাঠে।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চারিদিকে সারি সারি ঝুলানো পোস্টার ও বিলবোর্ড। চায়ের দোকানগুলো নির্বাচনী আলোচনায় সরগরম। প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ভোটারদের মুখে মুখে এখন প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।
বর্তমান মেয়র জুয়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করলেও স্বতন্ত্র হিসাবে আওয়ামী লীগের অপর দুই প্রার্থী মো.আনোয়ার হোসেন নারিকেল গাছ ও মো. হেলাল মিয়া জগ প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে অনেকটা নীরবেই চলছে বিএনপি প্রার্থী মো. আবুল হোসেনের নির্বাচনি প্রচারণা।চারজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরন বিধি লংঘনের কারনে জরিমানার অভিযোগ পাওয়া গেছে।তবে এবারের নির্বাচনে সাধারন ভোটারদের মাঝে প্রভাব ফেলেছে আওয়ামীলীগ সমর্থক তিনজন প্রার্থীর মেয়র পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ।সাধারন ভোটারদের মাঝে আলোচনায় বিশেষ ভাবে স্হান পাচ্ছে সরকার দলের সমর্থক তিনজন মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহনের কারনে প্রভাব বিস্হারকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘঠনার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।এবারের নির্বাচনে কমলগঞ্জ পৌরসভায় ১৩ হাজার ৯০৫ জন ভোটার রয়েছেন। ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা জানান, সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত একজন পৌর মেয়র চান সকলেই। যিনি জনবান্ধব এবং কথার সাথে কাজের মিল রেখে গড়ে তুলবেন একটি আধুনিক কমলগঞ্জ পৌরসভা।
এদিকে সোমবার বিকালে কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনায় সবকটি সড়ক অবরোধ করে নির্বাচনী পথসভা করেন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো.হেলাল মিয়া। রাস্তায় মোটর সাইকেল ফেলে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফলে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। তবে এসময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে চোখে পড়েনি।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা রোধে মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। বিষয়টি তাদের দেখার কথা। তারপরও সড়ক অবরোধ করে করে নির্বাচনী সভা করার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply