বান্দরবান প্রতিনিধিঃ রোজ(২রা ডিসেম্বর)বুধবার সকালে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে ইকো-ট্যুরিজম এওয়ারনেস ২০২০ একদিন ব্যাপী টুরিস্ট গাইড প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ এ্যাডভেঞ্চার ও ট্যুরিস্ট সোসাইটি লিমিটেড এর আয়োজনে এই প্রশিক্ষণ কে সার্বিক সহযোগীতা করেন রুমা উপজেলা প্রশাসন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রুমা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মার্মা,রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইয়ামিন হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ এবং রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো:আবুল কাশেম চৌধুরী ও রুমা জোন কমান্ডার মহোদয় এর প্রতিনিধি সহ সকল বিভাগের গোয়েন্দা সংস্থারা উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ এ্যাডভেঞ্চার ও ট্যুরিস্ট সোসাইটি লিমিটেড এর প্রতিনিধি মামুওর রশিদ, সালমান হোসেন, শেখ মোঃ কামালসহ তাদের প্রশিক্ষণ টিম।
এই সময় বাংলাদেশ এ্যাডভেঞ্চার ও ট্যুরিস্ট সোসাইটি লিমিটেড এর পরিচালক বলেন, আগামী ৭ডিসেম্বর রোজ সোমবার বান্দরবানে থানচি উপজেলায় অবস্থান করে ঐ উপজেলা একদিন ব্যাপী এপ্রশিক্ষণ দিবেন তারা।বিশ্বে পর্যটন শিল্প দিন দিন যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে তেমন বাড়ছে এই শিল্পে প্রতিযোগিতাও।বর্তমানে সর্বোচ্চ ভ্রমন অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিটি দেশে এবং তাদের পর্যটন বিভাগ তৈরি করছে প্রেশাদার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ট্যুর গাইড। এবং তাদের সাথে সাথে নিশ্চিত করছে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প। তেমনি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প উন্নত হয়ে উঠবে যখন আমাদের দেশের ট্যুর গাইডরাও প্রশিক্ষিত হবে এবং পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার্থে সচেতন হবে। পর্বত আরোহন বা যে কোনো ভ্রমণের ক্ষেত্রে একজন গাইডের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এরই সাথে অত্যাবশ্যক একজন গাইড এর দায়িত্ব ও নিয়মকানুন নিজে মানা এবং সেই সাথে পর্যটকদের সেই নিয়ম কারণ এর মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে একজন পর্যটক এর যেমন কোন প্রকার প্রস্তুতি ছাড়া ভ্রমণে বেরিয়ে পড়া ঠিক না তেমনি একজন ট্যুর গাইড এর ক্ষেত্রেও একটি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ ছাড়া পর্যটকদের সার্ভিস প্রদানে যাওয়া ঠিক না।
পর্যটক এর পাশাপাশি আমাদের সবার পরিবেশ এর উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবেশের কোন প্রকার যাতে ক্ষতি না হয় এদিকে পর্যটক এবং স্থানীয় প্রশাসনের লক্ষ্য রাখতে হবে।
গাইডের যা করণীয়ঃ ১/ যে কোন ট্যুর এর আগে গাইড তার পর্যটকদের পরিবেশের যেন ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে সচেতন করবেন। ২/পর্যটকরা যাতে ট্রুর এ প্লাস্টিক এর পানির বোতল ব্যবহার না করে এই ব্যাপারে সতর্ক করা। ৩/যে কোন পাড়া /ক্যাম্প ত্যাগ করার পূর্বে ওই স্থানের ময়লা, আবর্জনা বিশেষ করে প্লাস্টিক জাতীয় যেমন স্যালাইন, চকলেট, বিস্কুটের, প্যাকেট যথাযথ ভাবে পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা নিশ্চিত করা চায়ের ট্রে তৈরি করতে হবে ক্যাম্পায়ার পাড়া ও গাছপালা থেকে নিরাপদ দূরত্বে করা গাইড এর পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজন প্রশাসন এবং একত্রিত হয়ে কাজ করলে বান্দরবানকে একটি পরিবেশ বান্ধব ভবন স্থান হিসেবে নিশ্চিত করা যাবে।
Leave a Reply