বরগুনা জেলার থানা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের জনসংখ্যা, অপরাধ প্রবণতা ইত্যাদি বিবেচনায় ইতিপূর্বে জেলায় বিট অফিস স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বিটের ইনচার্জ একজন করে এসআই এবং তাকে সহায়তা করার জন্য এএসআই ও কনেস্টবল রয়েছে। প্রতিটি বিটে একটি করে স্থায়ী মোবাইল নম্বর রয়েছে। গত দুবছরে বরগুনা জেলায় বিট পুলিশিং কার্যক্রমের উঠান বৈঠক/বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে অনিবার্যভাবে বিট পুলিশিং কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক পরম শ্রদ্ধাভাজন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম(বার) মহোদয়ের নির্দেশনায় এ কার্যক্রম পূনরায় গতিশীল ও উজ্জীবিত করার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ কার্যক্রমের আলোকে বরগুনা জেলার ০৬টি থানা এলাকার সকল বিট অফিসে বসে সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারগণ উক্ত বিট এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত জনসাধারণের কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যার কথা শ্রবণ করেন এবং আইনগত সমাধান প্রদান করেন। শুধু তাই নয় বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে প্যানডেমিক পুলিশিং কার্যক্রমের আওতায় তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি এবং করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়।
বলা বাহুল্য যে, বিট পুলিশিং হলো পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর বলিষ্ঠ ও প্রকৃষ্ট হাতিয়ার। বিট সমূহে এসে অতি সহজেই সংশ্লিষ্ট বিট সমূহের অধিবাসীগণ মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ যে কোন অপরাধের কথা বলতে পারেন এবং তৎক্ষণাত প্রয়োজনীয় আইনগত সেবা নিতে পারেন। এর মাধ্যমে পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো হচ্ছে এবং পুলিশ ও জনগণের মিথস্ক্রিয়া মধুরতর হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতির মাঝেও বিট পুলিশিং এর এ কার্যক্রমকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকবৃন্দ, এবং সর্বস্তরের জনসাধারণ সাধুবাদ জানিয়েছেন। বিশেষ উল্লেখ্য যে, বরগুনা জেলায় বিট পুলিশিং এর এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply